আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৭-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

লামায় দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণ

বান্দরবান প্রতিনিধি
| শেষ পাতা

বান্দরবানের লামায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা নারী ও তার পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার রাতে লামা থানাকে অভিযোগ জানালে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত দুই যুবককে মোটরসাইকেলসহ আটক করে থানা নিয়ে আসে। ধর্ষিতা নারী জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টায় লামা পৌরসভার মধুঝিরির নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ধর্ষকরা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। 
আটককারীরা হলেন, লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার বাসিন্দা মৃত জালাল আহাম্মদের ছেলে মো. সাগর (১৮) ও পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কুড়ালিয়া টেক এলাকার মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (২৭)। 
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ওই নারী ও অভিযুক্তরা থানা হেফাজতে আছে।  
ধর্ষিতা নারীর বড় ভাই জানায়, আমার বোনের দুই মেয়ে। একজন অষ্টম শ্রেণিতে ও অন্যজন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। দেড় বছর আগে আমার বোনের স্বামীর সঙ্গে তার তালাক হয়ে যায়। পরে আরেক জনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। প্রায় ৭ মাস আগে দ্বিতীয় স্বামীকে ছেড়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। 
এদিকে বিদেশফেরত বোনের প্রথম স্বামী কয়েকদিন আগে এসে আমার বোনকে তার স্ত্রী হিসেবে আবারও সংসার করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। দুইজনের সম্মতিতে তারা ফের নোটারি পাবলিকে বিবাহ করে মঙ্গলবার স্বামীর ঘরে যায়। এ সময় আশপাশের স্থানীয় লোকজন আমার বোনকে অবৈধ স্বামী-স্ত্রী দাবি করে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। উপস্থিত সবাই আমার বোনকে আমাদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য সাগর ও আমির হোসেনকে দায়িত্ব দেয়। তারা বোনকে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে না দিয়ে পৌরসভার সাবেক বিলছড়ি এলাকায় নিয়ে রাত ১০টার দিকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে আমরা তাকে রাত ২টায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাই। ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাতেই দুই ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 
পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বলেন, দুই দিন আগে ওই নারীকে ফের বিয়ে করেছে বলে আমাকে তার স্বামী জানায়। আমি মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কাজে বান্দরবান গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসে পরে সামাজিকভাবে বিষয়টি নিয়ে বসার কথা ছিল। তার আগেই মেয়েটি মঙ্গলবার নিজের স্বামীর ঘরে আসায় সামাজের লোকজন বাধা দিয়েছে এবং ঘৃণিত কাজ করেছে বলে শুনেছি।