আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৭-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

দুর্গম চরে যাবে বিদ্যুৎ

পদ্মায় খুঁটি স্থাপন শুরু

সোনা চৌধুরী, রাজশাহী
| শেষ পাতা

পদ্মার এক বিচ্ছিন্ন চরের নাম চকরাজাপুর। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এই চরটি নিয়েই চকরাজাপুর ইউনিয়ন। এর আয়তন ৪৬ বর্গ কিলোমিটার। পরিবার প্রায় সাড়ে তিন হাজার, লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার। তারা কখনও ভাবেননি তাদের বাড়িতে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে। তবে তাদের কল্পনাকে ছাড়িয়ে এবার তাদের বাড়িতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ।
পদ্মার একটি শাখা নদী পার করে ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে দুর্গম চরটিতে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নাটোর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ এরই মধ্যে পদ্মার শাখা নদীতে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করেছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেছেন।
চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুঁটি স্থাপন শেষে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চকরাজাপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে। এই বিদ্যুৎ চরবাসীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী-মুজিববর্ষের উপহার। তিনি বলেন, দুই বছর আগে যেটা দিবাস্বপ্ন মনে হয়েছে এখন সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে। চরের মানুষকে হারিকেন ব্যবহার করতে হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা, নাটোর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মোমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম।
চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, চরে দুটি উচ্চবিদ্যালয় রয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের কেউ হারিকেন, আবার কেউ সৌর বিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনা করে। তবে আর কিছু দিনের মধ্যেই তারা বিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনা করতে পারবে। এটা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনের কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে আমাদের কল্পনাও ছাড়িয়ে গেল। চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, তার ইউনিয়নে মাত্র এক কিলোমিটার পাকা রাস্তা। কাঁচা রাস্তা ৪০ কিলোমিটার। গ্রামের সংখ্যা ১৫টি। এসব গ্রামের মানুষ কখনও ভাবেননি যে তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ আসবে। কখনও কেউ কল্পনাও করেননি। কিন্তু তাদের বাড়িতেই এবার বিদ্যুৎ আসছে।