জাতিসংঘের সঙ্গে জন্মগত সম্পর্ক বাংলাদেশের

কাজী আলী রেজার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ঢাবি ভিসি

জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জন্মগত। অর্থাৎ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ দেশটিকে পুনর্গঠন করতে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের কঠিন সময়গুলোয় জাতিসংঘের সমন্বিত কার্যক্রম অনেক সাহায্য করেছে। শনিবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে বাংলাদেশে জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা কাজী আলী রেজা রচিত ‘ইউনাইটেড নেশন্স অ্যান্ড বাংলাদেশ বিল্ডিং এ বেটার ওয়ার্র্ল্ড’ এবং ‘জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ উন্নয়নে অংশীদার’ শীর্ষক দুইটি পৃথক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. এম গোলাম রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই দুইটির প্রকাশক সন্তু সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক চিন্ময় মুৎসুদ্দী।
ভিসি বলেন, কাজী আলী রেজার জাতিসংঘবিষয়ক বিভিন্ন কর্মকা-ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার একটি সরব উপস্থিতি রয়েছে তার রচিত বইগুলোয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ এবং কাজী আলী রেজা একই সূত্রে গাঁথা। দেশের যেখানেই জাতিসংঘ নিয়ে আলোচনা হয়, সেখানেই কাজী আলী রেজা উপস্থিত থাকেন। তিনি কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর গ্রহণ করলেও জাতিসংঘ ছাড়তে পারেননি। বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকা-ের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব বিষয়ে তার বইয়ে আলোকপাত করেছেন তিনি।
জাতিসংঘের ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ভিসি বলেন, সারা পৃথিবী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। সারা পৃথিবী বিশ্বায়নের পক্ষে। বিশ্বায়নের যুগে এসে যদি জাতিসংঘ এ ধারা অব্যাহত না রাখতে পারে, তাহলে এতদিনের জাতিসংঘের সব কর্মকা- বিফলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীদের জাতিসংঘের কর্মকা- সম্পর্কে জানা দরকার। কাজী আলী রেজার বই দুইটিতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকা- সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার পর থেকেই জাতিসংঘ এদেশে বিভিন্ন কর্মকা- পরিচালিত করে আসছে।
ঢাবি ভিসি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ দফতরে যান। সেখানে তিনি সর্বপ্রথম বাংলায় বক্তৃতা দেন। সেদিন তিনি তার বক্তৃতায় যা বলেছিলেন, আজও সেসব অনুসরণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, পৃথিবী দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ চাহিদা মেটাতে অস্ত্রশক্তি প্রয়োগ করবে। অধ্যাপক ড. এম গোলাম রহমান বলেন, জাতিসংঘ নিয়ে মানুষের জানা দরকার। জাতিসংঘের অনেকগুলো অরগান আমাদের দেশে ও সারা বিশ্বে কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের জানা দরকার। কাজী আলী রেজার ‘জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ উন্নয়নে অংশীদার’ বইটির মাধ্যমে এসব তথ্য জানা যাবে।
কাজী আলী রেজা বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি জাতিসংঘসংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। তার রচিত বই দুইটি কোনো হাইপ্রোফাইল বই নয়। বই দুইটি দেশের স্টুডেন্ট কমিউনিটি এবং ইয়ুথ কমিউনিটিকে জাতিসংঘ বিষয়ে জানানোর জন্য একটা প্রয়াস। বাংলাদেশর মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন ভূমিকা নিয়ে বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। পাকিস্তানিরা কীভাবে চিটাগাং পোর্ট বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল; জাতিসংঘ কীভাবে সেখানে ভূমিকা রেখেছিলÑ এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘ একটি নন পলিটিক্যাল অর্গানাইজেশন। একই সঙ্গে তা কীভাবে সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে, তার একটি চিত্র বই দুইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।


বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রকাশিত
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রকাশিত
বিস্তারিত
কৃষকের হাসি
দীর্ঘদিন ধরে মাচায় পটোল চাষ হচ্ছে। এতে ফলন হয় ভালো।
বিস্তারিত
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুসন্ধান কমিটির
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে সোমবার বঙ্গভবনে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের
বিস্তারিত
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ
বঙ্গভবনে দরবার হলে রোববার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে
বিস্তারিত
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে বুধবার জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত
বিস্তারিত
মতিঝিল এলাকায় সড়কের দুই পাশে
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় সড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাস্তা
বিস্তারিত