অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোন হিসেবে নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়া ও জামতলা এলাকা এবং ফতুল্লার রূপায়ন সিটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার ৭ জুন থেকেই এটা কার্যকর হবে। তবে বিকেলেই শহরের আমলপাড়া এলাকার একটি সড়কের প্রবেশ পথে দেখা গেছে লকডাউন ভেঙ্গে চলাচল করছে এলাকাবাসী। লকডাউন লেখা প্ল্যাকার্ড ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে আসা যাওয়া করছে সাধারণ মানুষ।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন জানান, উক্ত এলাকা লকডাউন এর আওতায় থাকবে। উক্ত এলাকা থেকে অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন ব্যক্তি বাইরে আসতে পারবেন না বা বাইরে থেকে কোন ব্যক্তি উক্ত এলাকায় যেতে পারবেন না। উক্ত এলাকায় কোন গণপরিবহন থামবে না। উক্ত এলাকায় কাঁচা বাজার বন্ধ করে ভ্রাম্যমান বাজার এর ব্যবস্থা করা হবে। ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে শুধু কর্মচারীবৃন্দ অন্যান্যদের যাতায়াত আপাতত বন্ধ করা হলো।
এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে লকডাউন ঘোষণাকৃত ওই তিনটি এলাকার প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে আটকে বাঁশের গায়ে লকডাউন লেখা প্ল্যাকার্ড ঝুঁলিয়ে দেয়া হয়। তবে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের মিশনপাড়া মোড়ে স্বপ্ন সুপার শপের পাশ দিয়ে আমলপাড়ায় প্রবেশ পথের সামনে গিয়ে দেখা যায় লকডাউনের জন্য লাগানো বাশ উপরে তুলে নিচ দিয়ে চলাচল করছে ব্যাক্তিগত যানবাহন ও রিকশা। এছাড়া লকডাউন লেখা প্ল্যাকার্ডও ফেলে দেওয়া হয়েছে। এসময় ওই এলাকার সামনে প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্যকে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য গত করোনা চলাকালিন সময়ে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশেই দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ রাখার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জেও দোকানপাট ও বিপণিবিতানগুলো বন্ধ ছিল। ৭ এপ্রিল থেকে নারায়ণগঞ্জে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে ঈদের কেনাকাটার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিতভাবে দোকানপাট খোলার কথা জানানো হয়। সবশেষ গত ১০ মে থেকে বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া গত ৩১ মে থেকে লঞ্চ ও ১ জুন থেকে গণপরিবহন চলাচল করছে।