সিরাজগঞ্জে মৌসূমি ইরি বোরো ধান কাটা ও মাড়াই প্রায় শেষ হলেও সরকারি ভাবে এখনও পুরোদমে এ নতুন ধান ক্রয় শুরু হয়নি। এ কারণে জেলার সবকয়টি উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এ ধান নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন। তবে সরকারিভাবে ধানের দামের চেয়ে সংশ্লিষ্ট হাট-বাজারে এ ধানের দাম প্রায় কাছাকাছি থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুল হক আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, এবার শস্যভান্ডার খ্যাত চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলাসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ১ লাখ ৪১ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৯০% ধান কাটা ও মাড়াই শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক ট্রন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক ট্রন ধান উৎপাদন হয়েছে।
জেলার তাড়াশ, শাহজাদপুর, বেলকুচিসহ বিভিন্ন স্থানে কিছু নামি ধান রয়েছে। আগামী ২/১ সপ্তাহের মধ্যে এই ধান কাটা শেষ হবে।
এদিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাহবুবুর রহমান খান বলেন, সরকার ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে সিরাজগঞ্জে এবার ২৫ হাজার মেট্রিক ট্রন ধান ক্রয়ের বরাদ্দ দিয়েছে। গত মাসের শেষ দিক থেকে জেলার সবকয়টি উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তারা সরকারি বিধিমতে এই ধান ক্রয় করছেন। ইতিমধ্যেই জেলায় মাত্র ৮৪ মেট্রিক ট্রন ধান ক্রয় করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মহামারি করোনায় এ ধান ক্রয়ে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে সংশ্লিষ্ট হাট-বাজারে প্রতিমণ ধান গড়ে সাড়ে ৮’শ থেকে ৯২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে অনেক কৃষক সংশ্লিষ্ট সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আসছেনা। তবে দালাল ও ফড়িয়া এই ধান ক্রয় করছে কিনা সে ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।