
তরুণরাই দেশের ভবিষ্যত। তারুণ্য এমন শক্তি যা চাইলে বদলে দিতে পারে অনেককিছু, অন্ধকার দূর করে চারপাশ করতে পারে আলোকিত। আর একজন শিক্ষিত মা একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে পারেন।
সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকের আশায় না থেকেও তরুণদের নেয়া ছোট ছোট কিছু ব্যক্তিগত উদ্যোগ প্রতিনিয়ত আলো ছড়াচ্ছে সমাজের নানান অংশে। যে আলোয় আলোকিত হচ্ছে, সমাজের অনগ্রসর আর পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী। এমনই এক গল্প সিলেটের শিক্ষার্থী রুমা আক্তারের। ব্যক্তি উদ্যোগে যিনি রেলওয়ে স্টেশনের ছিন্নমূল শিশুদের দিচ্ছেন শিক্ষার আলো। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পড়ছে ছিন্নমূল শিশুরা।
বছর দুয়েক আগেও যারা রেললাইন বা বস্তির আশেপাশে ছন্নছাড়া জীবন যাপন করতো- তারাই আজ বই হাতে, সুশৃঙ্খল জীবনের পথে।
সমাজের অনালোকিত এই জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালতে, কারো ভরসায় না থেকে ইচ্ছাপূরণ সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে উদ্যোমী এই তরুণী সিলেটের রুমা আক্তার। আইন বিষয়ে স্নাতক শেষ করা রুমা ২০১৫ থেকে অদম্য চেষ্টায় নেশা আর অপরাধের জগত ছেড়ে আসা অভাবী শিশুদের শেখাচ্ছেন বর্ণের ছন্দ।
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়ে তারুণ্যের প্ল্যাটফর্ম 'ইয়ং বাংলার ইয়্যুথ অ্যাওয়ার্ড পেতে শীর্ষ ৫০ জনের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে সে। তার আশা, ক্ষুদ্র এই উদ্যোগ ছড়িয়ে যাবে দেশের আনাচে-কানাচে; অবস্থান প্রতিষ্ঠা করবে ইয়ং বাংলার শীর্ষ ১০ এ।
ব্যতিক্রমী এমন উদ্যোগগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে আরো এগিয়ে নিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই এর প্ল্যাটফর্ম 'ইয়ং বাংলা' থেকে দেয়া হচ্ছে নীতিগত সহায়তা।
সিআরআই এর নীতিনির্ধারকদের মতে, স্বেচ্ছাসেবী এই আন্দোলন সূচনা করবে নতুন দিনের।
এ বছর, সারাদেশ থেকে শীর্ষ ৫০ উদ্যোক্তার মধ্যে থেকে প্রথমে ৩০ জন এবং চূড়ান্তভাবে ১০ জন বিজয়ী ২১'শে অক্টোবর হাতে নেবে 'জয় বাংলা ইয়্যুথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৭'।