আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপি সালিশ-নালিশ বা অনুরোধ করে সাড়া পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করার যে কূট-কৌশল বিএনপি নিয়েছে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। আমরা কোনো চাপের কাছে মাথা নত করতে পারি না। জনগণের চাপ ছাড়া অন্য কোনো চাপের কাছে শেখ হাসিনা সরকার নতিস্বীকার করবে না।
বিশ্বাস করি আমাদের বন্ধুরা বাস্তবতা বোঝেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যতই অনুরোধ করুক, যত সালিশ-নালিশের কথা বলুক, তাতে তেমন কোনো সাড়া তারা পাবে না। কারণ বাংলাদেশ স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ।
বিএনপি মহাসচিবের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি এখন ঘানায়। আজ ফিরেছেন কিনা এখনো জানি না। আমি যতটা জানি তিনি ঘানায় অবস্থান করেছেন। এখন তো আর আলোচনার সুযোগ নাই। তবে মির্জা ফখরুল ইসলামকে যদি বিশেষ বিবেচনায় ঘানায় ইনভাইট করে নিয়ে যায় সেটা ভিন্ন কথা। যিনি ইনভাইট করেছেন, তিনি আলোচনায় বসেননি। তবে আলোচনায় বসেছে জাতিসংঘেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক। আলোচনা হতেই পারে এ নিয়ে আমাদের কোনো বিরূপ মন্তব্য নেই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে তারা জাতিসংঘে আলোচনা করতে গেছেন। এ আলোচনায় বিষয়বস্তু নিয়ে জাতিসংঘের কোনো মন্তব্য নেই, অবজারভেশন নেই, এটা আমরা জানি না। জাতিসংঘের কোনো পরামর্শ যদি থাকে দিতে পারে, তবে আমাদের সংবিধানের বাইরে গিয়ে বিকল্প কিছু করার নেই। সংবিধান সম্মতভাবে আমরা নির্বাচনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’ এসময় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের সমালোচনাও করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ কি অখুশি? সরকারের উপর কি মানুষের কোন আস্থা নেই? মানুষ ভাতে-পানিতে কষ্ট পাচ্ছে এই পরিবেশ তো বাংলাদেশে নেই। কি বলে পাবলিককে তাহলে রাস্তায় নামাবেন? যারা তাদের পার্টি অফিসে বসে এক অন্যকে সন্দেহ করে। একে অন্যকে সরকারের দালাল বলে, তারা নাকি আবার জাতীয় ঐক্য গড়বে? তাদের দলেই তো কোনো ঐক্য নেই।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এত বড় ট্রেন যাত্রা করলাম নীলফামারী পর্যন্ত, একটা টু শব্দ হয়েছে কোথাও? আর লোক তো এক লাখও ছাড়িয়ে গেছে বেশ কয়েকটি মিটিংয়ে। দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে সেটায় আমরা অ্যাকশনে যাই। আমাদের এমপি জেলে, আমাদের মেয়র জেলে, আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জেলে। কাজেই এখানে অন্যায় করে, পাপ করে কেউ রেহাই পাবে তা হবে না। ওয়ার্কিং কমিটির অরগানাইজিং সেক্রেটারি শোকজ হয়েছে, এবং জেলা পর্যায়ের সব বাঘা বাঘা নেতারা শোকজ হয়েছে। আমাদের পার্টিতে শৃঙ্খলার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা আছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসাইন, বাহাউদ্দিন নাসিম, মহিবুল হক চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদসহ আরো অনেকে।