এক ছোবলে ৮৬০ ভোল্ট কারেন্ট, ভয়ঙ্কর ইলের খোঁজ আমাজনে

একদিকে ধ্বংসের আর্তনাদ, অন্যদিকে নতুন প্রজাতির খোঁজ। আমাজনের পরতে পরতে এখনও রহস্যে মোড়া জীববৈচিত্র। আমাজনে নানা রকম প্রজাতির মাছের খোঁজ আগেও মিলেছিল। অজানা কয়েকটি প্রজাতিকে নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। বিজ্ঞানীদের দাবি,  দুটি নতুন প্রজাতির ইলেকট্রিক ইলের সন্ধান মিলেছে আমাজনে যাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা মারাত্মক। সোজা কথায় বলতে গেলে, এই ভয়ঙ্কর ইলের একটা ছোবল খেলেই মৃত্যু নিশ্চিত।

প্রায় মাস খানেক হয়ে গেল, একের পর এক দাবানলে পুড়ে যাচ্ছে আমাজন অরণ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। জ্বলে-পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, পশুপাখি, পতঙ্গ থেকে হাজার হাজার প্রজাতির মাছ।  পৃথিবীর মোট চাহিদার ২০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করে যে অরণ্য, যে অরণ্যকে বলা হয় ‘পৃথিবীর ফুসফুস’, তার এই পরিণতিতে রীতিমতো আতঙ্কিত পরিবেশবিদেরা। প্রাণিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই দাবানলের মধ্যেও নতুন প্রজাতির ইলেরা এখনও বেঁচে রয়েছে সেটাই আশ্চর্যের। যদি এই প্রজাতি বেঁচে থাকার লড়াইয়ে জিতে যায়, তাহলে প্রাণিবিজ্ঞানের গবেষণায় এক নতুন মাত্রা যোগ হবে।

স্মিথসোনিয়াম ন্যাশনাল মিউজিয়ামের প্রাণিবিদ সি ডেভিড দে সান্টানা জানিয়েছেন, গত ৫০ বছর ধরে এই প্রজাতিরা আমাজন অববাহিকায় বাসা বেঁধেছে। ইলেকট্রোফোরাস ভোল্টাই  বা ইলেরা সাধারণত ৬-৭ ফুট লম্বা হয়, ওজনে হয় ১৫-২০ কিলোগ্রাম। নতুন এই দুই প্রজাতি লম্বায় আরও কিছুটা বেশি, ওজনেও ভারী। তবে মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায়।
এক একটি ইল মাছ ৫০০-৮০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এই বিদ্যুৎ প্রবাহর পরিমাণ প্রায় ১ অ্যাম্পিয়ার এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ চলে ১-২ মিলি সেকেন্ড পর্যন্ত। শিকার ধরার সময় বা শত্রুপক্ষের আগমন টের পেলে, আত্মরক্ষার জন্য এই কারেন্ট তারা ব্যবহার করে। বিপদ বুঝলেই মস্তিষ্ক বার্তা পাঠায় স্নায়ুমণ্ডলে। খুলে যায় আয়ন চ্যানেল। সোডিয়ামের প্রবাহে বিদ্যুৎ তৈরি হয় অনেকটা ব্যাটারির মতো। সেই বিদ্যুতের শক দিয়েই শত্রুকে কাবু করে ফেলে ইলেরা। প্রাণিবিদরা জানিয়েছেন, নতুন প্রজাতির এই ইল আরও বেশি ক্ষিপ্র। এদের বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতা অনেক বেশি। প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে এক একবারে এরা ৬৫০-৮৬০ ভোল্ট বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে।

প্রাণিবিদ সি ডেভিড দে সান্টানা বলেছেন, ইলেকট্রোফোরাস ভোল্টাই ছাড়াও, ইলেকট্রোফোরাস ইলেকট্রিকাস ও ইলেকট্রোফোরাস ভারি এই দুই প্রজাতিও ঘাঁটি গেড়েছে আমাজন অববাহিকায়। বিজ্ঞানীর মতে, ইলেরা বিদ্যুৎ তৈরির জন্য তিন রকমের ইলেকট্রিক অর্গ্যান ব্যবহার করে। তবে এক এক প্রজাতির বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হতেই পারে। এই তিন প্রজাতির ডিএনএ পরীক্ষা করে তারই খোঁজ চলছে। সূত্র : দ্য ওয়াল।


পেঁপেও করোনা পজিটিভ!
মানুষের পাশাপাশি কয়েকটি প্রাণীর শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার ঘটনা
বিস্তারিত
এক উঁকুন ৩০০ টাকা উপরে!
আপনার মাথায় কি উঁকুন আছে? বিরক্ত হবে না! বরং আপনার
বিস্তারিত
বিছানায় ঝড় তুলতে গিয়ে, এখন
দাম্পত্য জীবনে সুখ ফিরিয়ে আনতে স্বামীর কাছে স্ত্রীর ‘বিশেষ আবেদন’।
বিস্তারিত
স্বামীর ৩ তালাকের প্রতিবাদ করে
স্বামীর তিন তালাকের প্রতিবাদ করায় শ্বশুরবাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হলেন ভারতের
বিস্তারিত
১১ বছর ধরে স্বামীর মরদেহ
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ইউটাতে বাড়ির ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা পল এডোয়ার্ড ম্যাথার্সের
বিস্তারিত
মৃত স্ত্রীর ভয়ে ৩০ বছর
স্ত্রী মারা গেছে অনেক আগেই। সেই স্ত্রীর জন্য শোক নয়,
বিস্তারিত