বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে জটিল রোগীদের জন্য ভেন্টেলেটর বা শ্বাসসহায়ক যন্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে স্বল্পমূল্যের ও দ্রুত বানানো যায় এমন ভেন্টিলেটর বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
বিখ্যাত আইটি উদ্যোক্তা এলন মাস্ক তার টেসলা গাড়ির কারখানায় ভেন্টিলেটর বানানোর কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
ভেন্টিলেটর বানানোর অন্যতম প্রতিষ্ঠান মেডিট্রনিক তাদের একটি ভেন্টিলেটরের নকশা ও কারিগরি বিষয় সবার জন্য উন্মুক্ত করেছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা কম খরচে ভেন্টিলটর বানানোর চেষ্টা করছে। এর মধ্যে টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড অত্যন্ত কম খরচে ও দেশীয় প্রযুক্তিতে বাজারের সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে ভেন্টিলেটরের প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে বলে দাবী করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির মূখপাত্র রাশেদ সারোয়ার বলেন, আমাদের ভেন্টিলেটর একটি মেকানিক্যাল নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর। এটি প্রধানত করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ও বিভিন্ন ধরনের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ভেন্টিলেটর বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে যে উপকরণ পাওয়া যায় তা দিয়ে পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব। যে কারণে খরচ অনেকাংশে কমে এসেছে। মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় এটা তৈরি করা সম্ভব। তিনি আরও জানান এ প্রোটোটাইপ এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, টাইগার আইটি ফাউন্ডেশন ২০১৯ এর শুরু থেকে বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটির সঙ্গে বিভিন্ন প্রজেক্টে কার করছে। এমআইটি’র কনসেপ্ট থেকে অনুপ্রেরনা নিয়ে স্বল্প খরচের ভেন্টিলেটর বানানোতে কাজ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাজ্জাদুল হাকিম ও রেদোয়ান হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম।
যথাযথ সরকারি অনুমোদনের পর প্রথম ৫০০টি ভেন্টিলেটের বিনাশূল্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান রাশেদ সারোয়ার। এছাড়া কেউ যদি এ ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী উৎপাদনে যেতে চায়, টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এর ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন প্রদান করবে বলেও জানা গেছে।