মোবাইল ব্র্যান্ড টেকনো সম্প্রতি বাজারে নিয়ে এলো তাদের দুটি নতুন ক্যামেরা কেন্দ্রিক স্মার্টফোন টেকনো ক্যামন ১৫ ও ক্যামন ১৫ প্রো। দুটি ফোনের মধ্যে উল্যেখযোগ্য কমন ফিচার হিসেবে থাকছে এর অসাধারণ ৪৮ মেগাপিক্সেল কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা, যার সাথে ব্যবহার করা হয়েছে আল্ট্রা নাইট টাইভস চিপ যা স্বল্প আলোতেও ক্যামেরার ছবিগুলোকে করবে অনেক বেশি প্রাণবন্ত, নিখুঁত এবং উজ্জ্বল।
যেখানে ক্যামন ১৫ প্রো এর ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরার সাথে থাকছে একটি ৫ মেগাপিক্সেল ১১৫ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড ও ২ সেন্টিমিটার ম্যাক্রো ক্যামেরা, একটি ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর আর ক্যামন ১৫ এর সাথে একটি ২ মেগাপিক্সেল ১১৫ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড ও ২ সেন্টিমিটার ম্যাক্রো ক্যামেরা,একটি ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
ক্যামেরার অন্যান্য ফিচার হিসেবে আছে বোকেহ মোড, ফেস বিউটি, নাইট শট,শর্ট ভিডিও, এইচডিআর, ফেস ডিটেকশন, এআই বডি শেপিং, কালার ফিল্টার, প্যানোরমা, এবং সেলফ টাইমার। সুন্দর সেলফি তোলার জন্য টেকনো ক্যামন ১৫প্রো এর সব থেকে আকর্ষণীয় ফিচার হিসেবে আছে এর স্বয়ংক্রিয় ৩২ মেগাপিক্সেল পপ আপ সেলফি ক্যামেরা এবং ক্যামন ১৫ এ আছে ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। টেকনো ক্যামন ১৫প্রো এবং টেকনো ক্যামন ১৫এর বাংলাদেশের বাজারে মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে যথাক্রমে ১৯,৯৯০ টাকা এবং ১৫,৯৯০ টাকা ।
ক্যামন ১৫ প্রো এবং ক্যামন ১৫ ডিভাইস দুটিতে যথাক্রমে রয়েছে ৬.৬ ইঞ্চি এর একটি ফুল ভিউ ডিসপ্লে এবং ৬.৫৫ ইঞ্চি এর ডট-ইন ডিসপ্লে দিয়ে অনায়াসেই সারাদিন গেমিং এবং ব্রাউজিং করা যাবে। ডিসপ্লে দুটির শার্পনেস, কালার প্রডাকশন, ভিউইং অ্যাঙ্গেল, এক কথায় অসাধারণ। আর তাই গেমস এবং মুভি দেখার এক্সপেরিয়েন্স হবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময়।
ক্যামন ১৫ প্রো এবং ক্যামন ১৫ ডিভাইস দুটিতে যথাক্রমে ৪০০০ এমএএইচ এবং ৫০০০ এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারি দেয়া হয়েছে যা দিয়ে অনায়াসেই সারাদিন গেমিং ও ব্রাউজিং করা যাবে। ক্যামন ১৫ প্রোতে আছে ৬ গিগাবাইট র্যাম এর সাথে ১২৮ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ এবং ক্যামন ১৫-এ দেওয়া হয়েছে ৪ গিগাবাইট র্যাম এর সাথে ৬৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ যা মাইক্রোএসডি কার্ড এর মাধ্যমে বাড়ানো যাবে। দুটি ফোনেই রয়েছে এ্যান্ড্রয়েড ১০ পাই অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর হিসেবে আছে হেলিও পি৩৫ এবং হেলিও পি২২ অক্টাকোর প্রসেসর। দুটি ফোনেই অক্টাকোর প্রসেসর এবং পর্যাপ্ত র্যাম থাকার ফলে হাই ডিমান্ডিং গেম গুলো খেলা যাবে অনায়াসে কোন ধরণের ল্যাগিং ছাড়া।
পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য স্মার্টফোন দুটিতেই ফিংগারপ্রিন্ট সিকিউরিটি এবং ফেস আনলক ফিচার আছে। এছাড়াও আরও কিছু স্পেশাল ফিচার আছে যেমন, ডুয়াল ফোরজি স্ট্যান্ডবাই, ডুয়াল ভোল্টে (নেটওয়ার্ক এনাবল্ড) প্রভৃতি।