সবারই স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ খেলার, আর সেটা যদি হয় নিজ দেশে তবে স্বপ্ন রূপ নেয় আবশ্যিক লক্ষ্যে। ২০১১ বিশ্বকাপের সহ আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। তবে ইনজুরির অজুহাতে মাশরাফি মোর্ত্তজাকে রাখা হয়নি দলে। কেন বাদ পড়েছেন দল থেকে? গতরাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে এক ফেসবুক আড্ডায় সেটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি।
বাদ পড়ার পর মাশরাফি সেদিন গণমাধ্যমের সামনে নিজের কান্না লুকাতে পারেননি। মাশরাফিকে দলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে হয়েছিল মানববন্ধন। তবে স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু ম্লান হয়েছে, বোলার কৌশিককে ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ।
তামিম ইকবালের শেষ লাইভে অতিথি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘প্রথম বিষয় হচ্ছে আমার একটাই স্বপ্ন ছিল দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার। যখন শুনলাম বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড কাপ হবে তখন ব্যাপারটা আরও বেশি হয়ে যায়। সবার জন্য স্বপ্ন থাকে নিজ দেশে বিশ্বকাপ খেলা। আমি আমার লাইফে দুইবার খুব ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম। তার মধ্যে একবার ২০১১ ওয়ার্ল্ড কাপে।’
তার বাদ পড়ার পেছনে ছিল ফিজিও মাইকেল হেনরির বড় ভুল। মাশরাফির মেডিকেল রিপোর্ট সে পুরোটা না পড়েই পাঠিয়ে দিয়েছিল নির্বাচকদের কাছে।
কী ভুল করেছিলেন ফিজিও?
‘তখন সে (মাইকেল হেনরি) বলল নাহ, আমিতো পুরোটাই লিখে পাঠিয়েছি। তখন আমি হেনরিকে যখন বললাম; তখন সে বললো, দেখ তুমি মোবাইল চেক করে। পরে আমি যেটা দেখলাম, সে (হেনরি) আর নিচে যে রিড মোর অপশন থাকে সেখানে যায়নি। এরপর সে আমাকে সরি বলেছে। কিন্তু ওর সাথে তখন আর ঝামেলা করে তো লাভ নেই। মূলত আমি যেটা বললাম; আমার ফ্যামিলিকে ব্যাক পাবো দেখেই এসব আমার সাথে ঘটেছে। আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন।’
বিশ্বকাপ থেকে নড়াইল এক্সপ্রেসের ছিটকে যাওয়া অবাক করেছিল মুশফিককেও। তিনি বলেন, ‘বলার অবকাশ রাখে না। তিনি এমন একজন প্লেয়ার, একজন লিডার তার না থাকাটা শকিং ছিল। কিন্তু তখন আমি আমার ক্যারিয়ারের আর্লি স্টেজে ছিলাম, অতকিছু বুঝতে পারিনি।’