সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চল জেদ্দায় আজ শনিবার থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। আগামী ২০ জুন পর্যন্ত এ কারফিউ অব্যাহত থাকবে। এর ফলে জেদ্দা অঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় দু’লাখ বাংলাদেশি কর্মী পুনরায় ঘরবন্দীর আওয়ায় পড়তে যাচ্ছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভার দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে সৌদির স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা জারি করেছে। শুক্রবার রাতে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কারফিউ চলাকালে কতিপয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এতে কারফিউ চলাকালে কোনো ঘোরাফেরা করা যাবে না, মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ থাকবে, সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতে কাজের জন্য উপস্থিত হওয়া যাবে না, হোটেল-ক্যাফেতে অভ্যন্তরীণ সার্ভিস দেওয়া বন্ধ থাকবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি লোক জমায়েত হওয়া যাবে না, কারফিউ এর সময়ের বাইরে অন্য সময়ে শহর থেকে বের হওয়া ও প্রবেশ করা যাবে। ইতিপূর্বে বিশেষ পারমিশন দেওয়া প্রতিষ্ঠান বা পেশার লোকজন মুভমেন্ট করতে পারবে।
এ ছাড়া সৌদির অন্যান্য শহরের মহামারির পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে। এর আগে গত ৩১ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত কারফিউ কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্যমতে, শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৭৪৮ জন। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭০ হাজার ৬১৬ জন। সৌদিতে এখন পর্যন্ত ৬৪২ জন মারা গেছে। এর মধ্যে দেশটিতে করোনায় মৃত প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫ জনে।