মালয়েশিয়ায় ১ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদেশীদের কাছে করোনাভাইরাসের জাল নেগিটিভ রিপোর্ট বিক্রি করে পুলিশের কাছে ধরা খেলো দুই বাংলাদেশি। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাদের নাম প্রকাশ করেনি।
গত শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কুয়ালালামপুরের জালান আলোর দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ওই দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয় ।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর পুলিশ প্রধান দাতুক মাজলান লাজিম জানান, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশি অভিবাসীদের কাছে মালায় রিংগিত ৫০ ( টাকা ১ হাজার) বিনিময়ে করোনাভাইরাসের নেগিটিভ রিপোর্ট বিক্রি করে আসছে এই সিন্ডিকেট গ্রুপ। অবশেষে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ১২ হাজার টাকার দোকান ভাড়া নিয়ে ও স্থানীয় দুজন নাগরিককে চাকরি দিয়ে কাউন্টারে রেখে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা অবধি এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি জাল কোভিড -১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষার রিপোর্ট, একটি ফাঁকা ল্যাবলিঙ্ক মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি লেটারহেড এবং মালায় রিংগিত ১,৩৩১(টাকা ২৬,৫০০) উদ্ধার করে।
এ ছাড়াও পুলিশ দুটি ল্যাপটপ, তিনটি প্রিন্টার, দুটি ল্যামিনেটর মেশিন ও কোভিড -১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষার ফলাফলের দুটি শীটসহ বেশ কয়েকটি আইটেমও বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানান দাতুক মাজলান লাজিম।
তিনি আরও বলেন, কোভিড -১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষার ফলাফলের রিপোর্ট নকল করার বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং বেআইনিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
গ্রেপ্তারকৃত দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ১৯৮৮ এর ধারা ২২ (ডি), দণ্ডবিধির ধারা ৪৬৮, দণ্ডবিধির ধারা ৪৭১ এবং ইমিগ্রেশন আইনের ধারা ৬ (১) (সি) এর অধীনে মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেশটিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের দেওয়া শর্তসাপেক্ষে মুভমেন্ট অর্ডার ৪ মে থেকে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের অনুমতি দেয়। প্রবাসীদের কাজে যোগ দিতে হলে বাধ্যতামূলক করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে। এই সুযোগেই অসাধু বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সাধারণ প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে।