করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ আজ শনিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ স্যারের চিকিৎসক অধ্যাপক মামুন মুস্তাফি আমাদেরকে জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবারের মতো আজ স্যার অস্বস্তি বোধ করছেন না। গতকাল স্যারের যে অবনতি অবস্থা ছিল তা এখন নেই। আগের তুলনায় অক্সিজেন কম লাগলেও ভালো কথা হচ্ছে- এখন স্যারের ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হচ্ছে না।’
মো. ফরহাদ বলেন, ‘শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তিনি নেই। চিকিৎসকরা আশা করছেন সামনে আরও উন্নতি হবে। ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক মামুন মুস্তাফির নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক সার্বক্ষণিক স্যারের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।’
করোনা আক্রান্ত হয়ে ডা. জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মো. ফরহাদ আরও বলেন, ‘গত রাতে কিডনি ডায়লাইসিস হয়েছে। একটা প্লাজমা নিয়েছেন। এর আগেও দুবার তাকে প্লাজমা দেওয়া হয়েছিল। এখন একটু ভালোর দিকে। তিনি মুখে খাবারও খেতে পারেন। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাশতাও করেছেন।’
গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ডা. জাফরুল্লাহর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরেই তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীরও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।