শীতের আগমনী বার্তায় ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে পাহাড় আর সাগরে ঘেরা চট্টগ্রামে।
আবহাওয়া পরিবর্তনে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতকালীন শিশু রোগীর সংখ্যা।
নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিছসহ শ্বাসজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক সময়ের থেকে কয়েক গুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তাপমাত্রা নামতে শুরু করায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ঠাণ্ডার কারণে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস রোগীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে শ্বাসজনিত শিশু রোগীর সংখ্যাও। শিশু ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ৬৬টি ও নবজাতক ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ৩২ টি। কিন্তু শীতের শুরু থেকেই এই দুই জায়গায় স্বাভাবিক সময়ের থেকে কয়েক গুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন শিশু রোগী।
চমেকের নবজাতক - শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. চিরজ্ঞীব বড়ুয়া বলেন, 'ঠাণ্ডা জনিত রোগ অনেক গুণ বাড়ছে।'
এদিকে ঠাণ্ডাজনিত কারণে রোগের তীব্রতা বাড়ায় চিন্তিত স্বজনরা।
শুধু নগরীর নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগীরা আসে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। জনবল সংকটের কারণে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চমেক নবজাতক ওয়ার্ডের প্রধান প্রফেসর ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ, '১০-১২ জন ডাক্তার দিয়ে এতো রোগীর চিকিৎসা দেয়া খুবই দুরূহ ব্যাপার।'
শিশুর শরীরে রোগের উপসর্গ দেখা দেয়ার সাথে সাথেই ডাক্তারের কাছে যাবার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দেন চমেক শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. প্রনব কুমার চৌধুরী।'
চমেকের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. প্রনব কুমার চৗধুরী বলেন, 'শুধু চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নয়, নগরীর অন্যান্য শিশু হাসপাতালে ও বেড়েছে শিশু রোগীর চাপ।'