নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে মিয়ানমারে ফিরে যাবেন বলে চীনের প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন তুমব্রু সীমান্তে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের কাছে এসব দাবি জানান তারা। কী করলে মিয়ানমারে ফিরে যাবেন, লি জিমিং-এর এমন প্রশ্নের জবাবে রোহিঙ্গারা দুটি দাবি মেনে নিলে ফিরে যাওয়ার কথা জানান।
তুমব্রু সীমান্তে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে চীনের রাষ্ট্রদূত ঘুমধুম সীমান্তের ট্রানজিট ঘাট ও মিয়ানমার-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত) শামসুদ্দৌজা নয়নসহ অন্য কর্মকর্তারা।
রোববার সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছায় চীনের চীনের প্রতিনিধি দল। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবে প্রতিনিধি দলটি। সেখানেও শরণার্থী রোহিঙ্গাদের মতামত নেবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পরিদর্শন শেষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
গত ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল চীন। চীনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার। কিন্তু রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় সেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন অভিযান শুরু করে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
এর আগে থেকেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি শিবিরে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী এই সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭ জন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।