স্ত্রী-সন্তানের সাথে আল আমিন সমো-ছবি ফাইল
মালয়েশিয়া প্রবাসী শ্রমিক সিরাজগঞ্জের আল আমিন সমো (৩৫) মৃত্যুর প্রায় ৭ মাস হলেও কোম্পানির প্রায় ১৫ লাখ টাকা পায়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর অভিযোগ করেও সাড়া মেলেনি। এতে তার স্ত্রী-সন্তানসহ পারিবারের লোকজন এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
নিহতের স্ত্রী মেঘা আক্তার মুন্নি সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মাছুমপুর মহল্লার আল আমিন সমো ২০১৪ সালে সরকারিভাবে শ্রমিক ভিসায় মালয়েশিয়ায় যান এবং ওই দেশের ইফা মেরিজম্যান কোম্পানির পাম্প ফলের বাগানে কাজে যোগ দেন। এতে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ভালোই চলছিল সংসার। ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর মোবাইল ফোনে খবর আসে আমার স্বামী হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা গেছে। ১১ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বামীর লাশ আসে মালয়েশিয়া থেকে। তখন ওই কোম্পানিসহ সে দেশের জীবন বীমা কোম্পানি ও রাষ্ট্রের বেশ কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে স্বামীর লাশ বুঝে নেয়া হয়। স্বামীর মৃত্যুর দীর্ঘদিন পার হলেও জীবন বীমার টাকাসহ ওই কোম্পানির ১৫ লাখ টাকার সন্ধান মেলেনি। বর্তমানে আমার সন্তানসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ মানবিক বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই টাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহণে সুদৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।