প্রকাশিত হলো কবি ফেরদৌস মাহমুদের ‘পাখিরা কোথাও অতিথি নয়’

একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কবি ফেরদৌস মাহমুদের কবিতার বই ‘পাখিরা কোথাও অতিথি নয়’। মেলায় বইটি মিলছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘চৈতন্য প্রকাশনী’র ৫৩৫-৫৩৬ নম্বর প্যাভিলিয়নে। ৭২ পৃষ্ঠার বইটির দাম রাখার হয়েছে ১৬০ টাকা। ‘চৈতন্য প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী দেওয়ান আতিকুর রহমান।

বইয়ের একটি কবিতার শেষ তিন লাইন—

দ‌েশভাগ মানে আহা ভাইয়ের বাড়িতে পাসপোর্ট নিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়া।
আগামী জন্মে আমি পরিযায়ী পাখি হব, বিনা ভিসায় সাইবেরিয়ায় যাব আর
বাংলাদেশে আসব। শোনো হে, পাখিরা কোথাও অতিথি নয়!

বই প্রসঙ্গে কবি ফেরদৌস মাহমুদ বলেন, ‘পাখিরা কোথাও অতিথি নয়’ আমার পঞ্চম কবিতার বই। জানুয়ারির ২৫ তারিখেও আমি জানতাম না, বইয়ের নাম কী দেব। আমার বাবা শিশুসাহিত্যিক মাহমুদউল্লাহ বইটির নাম আমার একটি কবিতার লাইন দিয়ে (পাখিরা কোথাও অতিথি নয়) রাখার প্রস্তাব দেন। তাঁর প্রস্তাব শুনে আমার কাছে মনে হয়, এ নাম বইয়ের পাণ্ডুলিপির সঙ্গে পুরোপুরিই প্রাসঙ্গিক। এ বইয়ের কবিতাগুলোতে দেশভাগ ও ভূ-রাজনীতির বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে বেশি। আমি রাজী হয়ে যাই। বইটির নাম সিলেক্ট করে দিয়ে, আমার বাবা আমাকে এক বড় ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দেন। বাবারা সব সময়ই এভাবে সন্তানদের বাঁচিয়ে দেন। কিন্তু সে তুলনায় বাবার জন্য সন্তানেরা করতে পারেন সামান্যই! কবিবন্ধু রুদ্র আরিফের বার-বার তাগাদায় বইয়ের কাজ যখন শেষ হলো এবং বইয়ের নামও পেলাম, তখন চিন্তিত ছিলাম প্রচ্ছদ নিয়ে। এক্ষেত্রে রুদ্র বাড়িয়ে দিল সাহায্যের হাত, সে শিল্পী দেওয়ান আতিকুর রহমানকে জানায় আমার পাণ্ডুলিপির কথা। অল্প সময়ের মধ্যে চমৎকার একটি প্রচ্ছদ করে আমার উদ্বেগ দূর করে দেন দেওয়ান আতিকুর রহমান। এই অসাধারণ মানুষটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। কৃতজ্ঞতা জানাই তরুণ কবি রাসেল রায়হানের প্রতিও, তিনি শেষ মুহূর্তে পাণ্ডুলিপিটিতে চোখ বুলিয়ে দিয়ে বানানের সুক্ষ্ম ত্রুটিগুলো সংশোধনে সহায়তা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বইটির প্রকাশ উপলক্ষে মনে পড়ছে অনু ভাইয়ের (প্রয়াত লেখক-গবেষক অনু হোসেন) কথা। নানা কারণেই আমি অনু ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। মাসখানেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বইটি তাঁকে উৎসর্গ করব। তাঁর হাতে বইটি তুলে দিয়ে সারপ্রাইজ দেব। কিন্তু এত দ্রুত যে তিনি চলে যাবেন, ভাবতেও পারিনি। বইটি অনু ভাইকে উৎসর্গ করেছি, কিন্তু তিনি দেখতে পারলেন না— এই আক্ষেপ থেকেই গেল।


এনাম রাজুর তিনটি কবিতা
এনাম রাজুর তিনটি কবিতা এক যদি পূর্ণবার ঘর থেকে বের হয়ে দেখি
বিস্তারিত
ফখরুল হাসানের দুটি কবিতা
ফখরুল হাসানের দুটি কবিতা  জানালাহীন মাটির ঘর জগৎখ্যাত সার্চ লাইট দিয়ে খুঁজে
বিস্তারিত
ধৈর্যের ফল
ফারুক হোসেন নীরব নিস্তব্ধ রাত। বাতাস বইছিল ঝিরি ঝিরি।
বিস্তারিত
একটি মানবিক আবেদন
    কবি জাহাঙ্গীর কবির গানের কলি দিয়েই বলি  “মানুষ মানুষের
বিস্তারিত
'তবু আমারে দেব না ভুলিতে'
'আমি চিরতরে দূরে চলে যাব/তবু আমারে দেব না ভুলিতে'- লিখেছিলেন
বিস্তারিত
আমাদের চলচ্চিত্রে একজন জহির রায়হান
জহির রায়হান। একাধারে একজন সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা। আরও
বিস্তারিত