রূপকথার রাজ্য ও কম্পিউটার

পরের সকালে ঙ এসে রাজ্যের সবাইকে জানাল কম্পিউটার আপাতত একটা সমঝোতায় এসেছে, সে রূপকথার রাজ্যের ক্ষতি হয় এমন কিছু আর করবে না। ঙ-এর কথা শুনে সবাই খুশি হলো। রাজ্যে আবার আনন্দ ফিরে এলো

রূপকথার রাজ্যে খুব বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়ছে। এ নিয়ে যতটা না চিন্তিত রূপকথার রাজ্যের রাজা বা উজির, তার চেয়ে বেশি চিন্তিত দেখা যাচ্ছে ঙ-কে। সে যেমন তেমন বিপর্যয় নয়Ñ এ নিয়ে নাকি প্রথমে ফিসফাস, কানাঘুষা চলেছে, এরপর নাকি রাজপুরীর দেয়ালে পোস্টারও লেগেছে। রাজপুরীর প্রধান যে দৈনিক পত্রিকা আছে সেখানেও ফলাও করে ছাপানোর পর বিপর্যয়টা সবাই জানতে পেরেছে। ঙ-ও জেনেছে ওই পত্রিকা থেকে। তখন থেকে ঘরের এপাশ ওপাশ করছে ঙ।
কী করা যায়? কী করা যায়? রাজা থেকে পাত্র, মিত্র, মন্ত্রী, কোটাল কারও কোনো ধারণা নেই এ বিষয়ে। এমন ব্যাপার তো কস্মিনকালেও ঘটেনি। তার মীমাংসার নজিরও কোথাও নেই। রাজসভার সবাই শুকনো মুখে সে কথাই নাকি ভাবছে। ঙ-এর এত চিন্তা দেখে তাকে সবাই জিজ্ঞেস করলÑ তুমি এত ব্যস্ত হোচ্ছ কেন? এ চিন্তা তো রূপকথার রাজা যিনি আছেন তিনি করবেন। 
সে তোমরা বুঝবে না। কোথা থেকে যে এমন ফ্যাসাদ এলো! বেশ চলে যাচ্ছিল রূপকথার রাজ্য। রাক্ষস-খোক্ষস, দৈত্য-দানব নিয়ে ভালোই চলছিল। রাজপুত্ররা মাঝেমধ্যে যেত রাজকুমারীদের উদ্ধার করতে। উদ্ধার করে একেকটা রাজ্যও পেয়ে যেত। তারপর তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করত। কিন্তু এবারের বিপদ নাকি একেবারেই আলাদা। আর রাজা আমাকে নিজ থেকে দায়িত্ব দিয়েছে এ বিপদ থেকে কীভাবে উদ্ধার পাওয়া যায় সেটা বের করতে। 
সবাই জানতে চাইল বিপর্যয়টা কী, তখন ঙ বলল বিপর্যয়টা হচ্ছে কম্পিউটার। এটা থেকে কীভাবে রূপকথার রাজ্যকে বাঁচানো যায়, এখন সেটাই ভাবছি। তোমরা জান নাÑ রাক্ষস থেকে শুরু করে বড় বড় ভয়ঙ্কর দৈত্য-দানব রাজার কাছে চিঠি দিয়েছে, তারা এ রূপকথার রাজ্যে আর থাকতে চাচ্ছে না। কোনো বাচ্চাই নাকি এখন আর রূপকথার রাজ্যে আসতে চায় না। এলেও তাদের আর ভয় পায় না। এই যেমন আমার কথাই ধরো। আমি ভূত হয়ে তোমাদের সঙ্গে আছি; কিন্তু তোমরা ভয় পাচ্ছ না। 
ঙ ভাবল বিষয়টি নিয়ে কম্পিউটারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। ঙ রওনা দিল কম্পিউটারের কাছে। তখন গভীর রাত। রাজ্যের সবাই  ঘুমিয়ে আছে। আর ঙ চলল কম্পিউটারের গুহায়। পরের সকালে ঙ এসে রাজ্যের সবাইকে জানাল কম্পিউটার আপাতত একটা সমঝোতায় এসেছে, সে রূপকথার রাজ্যের ক্ষতি হয় এমন কিছু আর করবে না।
ঙ-এর কথা শুনে সবাই খুশি হলো। রাজ্যে আবার আনন্দ ফিরে এলো। সমঝোতা অনুযায়ী ঠাকুরমার ঝুলির বেশিরভাগ গল্পই কম্পিউটার কার্টুন আকারে দেখাচ্ছে, যে কারণে রাজ্যে আবার রাক্ষস-খোক্ষসদের দিন ফিরে এসেছে। রাজ্যের সবাই এখন ঙ-এর জয়গানে ব্যস্ত।


তমালের কাঁঠাল গাছ
‘বাঁশবাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলক বলা
বিস্তারিত
আবরার
রক্ত তোমার আলোর প্রদীপ জ্বালায় রক্ত তোমার লাত্থি মারুক তালায়
বিস্তারিত
ব্যাঙের বুদ্ধি
চিবিদ বনে বাস করত বিরাট এক অজগর। সে বেশ লোভী,
বিস্তারিত
বোরহান মাসুদ
  গুটিবেঁধে মেঘ এলো যেই ডানপিটের হৈচৈ কাদামাটির মাঠখান আজ করছে
বিস্তারিত
তোমাদের আঁকা ছবি
ছবিটি এঁকেছে নারায়ণগঞ্জের চাইল্ড  কেয়ার স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী  গাজী
বিস্তারিত
কাশফুল দুল যেন
কাশফুল দুল যেন প্রকৃতি মাঝে, নদীকূলে ঝুলে থাকে অপরূপা সাজে। সাদা
বিস্তারিত