ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ৯ বছর ধরে লড়াই করে যাওয়া বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল মেয়ের বিয়েটা দেখে যাওয়া। কয়েক দিন পরেই বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু তার যেন তর সইছিল না।
পরিবার ও চিকিৎসকদের আশঙ্কা থেকে বাবার চোখের সামনেই বিয়ের কাবিন হাসপাতালে সারা হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া এলাকায় ঘটেছে।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের
কর্তৃপক্ষ বিয়ের সব আয়োজন হাসপাতালের ভেতরেই করেছেন। এদিন ৬১ বছর বয়সী সন্দীপকুমার সরকার নামে এই ভারতীয়র শারীরিক সমস্যা বেড়েছিল। অক্সিজেন নিতে পারছিলেন না।
রেলের সাবেক এ প্রকৌশলী ২০১১ সাল থেকে জিহ্বার ক্যান্সারে ভুগছেন। মুম্বাইয়ের একটি ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন।
এবার মেয়ের বিয়ের রেজিস্ট্রির প্রশংসাপত্রে নিজেই সই করেছেন। কেক কেটে অতিথিদের মুখে কেকের টুকরো তুলেও দিলেন। যদিও সন্ধ্যায় ফের তার অস্ত্রোপচার হয়েছে।
তার মেয়ে দিওতিমা রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজে শারীরবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করছেন। তার সঙ্গে এদিন বিয়ে হয়েছে দেশটির একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুণ্ডুর।
বিয়ের পর মেয়েটি বলল, অদ্ভুত অনুভূতি। আমাদের নতুন জীবন শুরু হলো অথচ বাবার জীবন শেষের পথে। চিকিৎসায় আর সাড়া দিচ্ছেন না। শুধু আমাদের একসঙ্গে দেখার অপেক্ষায় মনের জোরে লড়াই করছেন।
তিনি বলেন, বাবার ইচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য সফল হয়েছে এ বিয়ে।
ভিডিও দেখুন: