তুমি ও তোমার পৃথিবী
যদি মিথ্যা পথের বাঁধা হয়ে চোখ রাঙায়
বউয়ের ধনাঢ্য পিতার মতো কাঁধে রাখে হাত
হও মুখোমুখি দ্বন্দ্বের,
দূর করে দিতে বলে সত্যকে
এবং তুমি সত্যতে অনঢ়।
বুঝে নিও তুমি মানুষ
কষ্ট তোমাকে পরিখার মতো বেষ্ঠিত রাখবে!
যখন চারদিকে যাবতীয় হিং¯্রতা
মাকড়সার জাল বুনবে
পৃথিবীটা জল্লাদখানা হবে কারো প্রভাবে
বাধ্য করে কালো অক্ষরের ব্যবহারে
অভাবকে দেখানো হবে মহামারী করে
বায়োস্কপের মতো
অথচ তুমি লিখে যাও আপন মনে যা উচিৎ ভাবো
তোয়াক্কাও করো না রাষ্ট্রীয় সম্মাননার
তখন তুমি কবি, সমাজের জনক-জননী
দুঃখ তোমার থাকবে আপন জননীর মতোই।
যখন তোমার দ্বারা আক্রান্ত হয় না কেউ
কিন্তু তারা তোমার গোত্রীয় নয়
এবং সবাই ধারন করে টুপি, সিঁদূর কিবা
এসবের কোনোটাই নয়
তখন তুমি ধর্মপিতা, সঠিক পথের দিশারী
তোমাকে যাবতীয় আঘাত সহ্যের জন্য তৈরি হতে হবে!
সমাজের চলচ্চিত্র
থোকা থোকা প্রেম দাও তুলে নাও ফুলফাঁদ
কলিদের বলি দিয়ে টেনো না অযথা নিষিদ্ধ শিকল
এদের মাঝে দেখি বিনা তারে নানান সুর
আরো ফুটেছে বর্ম তৈরির সুক্ষ্ম কারুকাজ।
সমুদ্র ঢেউ থামাতে কেনো ছোটো কাবিলের পথে
আমদানি-রফতানি করে বিদেশি তেল
বনজ ধ্বংস করে ফের ডাকো বৃক্ষদিবস।
সঠিক পথ চেনো না ঠিক যেনো লুতের গোত্র
রাষ্ট্রিয় দিবস মানো না খোঁজো শুধু প্রাণপাহাড়
বায়োকেমিক মানুষগুলো একদিন হবে শিরটান
মিছিলে মিছিলে আসবে শান্তির আযান।
সেদিন ভেদাভেদ থাকবে না ধনী ও গরিবের
নদী ও সমুদ্র যেমনি ছোটে সমান্তরাল। হয়তোবা-
সেদিনও কেউ আড়ালে-আবডালে বাইজি নাচাবে
ভেদাভেদ ভুলে যাবে নারী আর পুরুষের।
একদিন গণমাধ্যমে শিরোনাম
মানুষকে ভালোবাসার পর
এ আমার তৃতীয়বারের পূর্ণজন্ম হলো...
প্রথম নারীকে আপন করতে অধিকারের কালাম পড়ি
তখনই সমুদ্র আমাকে বুকে টেনে নেয়
ঢেউয়ের আঘাতে পতাকার মতো ওড়াউড়ি করি জলবাতাসে
সূর্য ডুবে যাওয়ার সাথে ঘুমের সম্পর্কটা যেমন স্বচ্ছ
ঠিক আমার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়েছিলো সেদিন...
দ্বিতীয়বার যখন ঘরহারা যুগলের মাথার উপর
টেনে দিলাম নিশ্চিত মিলনের শামিয়ানা
তখন রটেছিলো পাড়ায় পাড়ায়
আমার অদৃশ্য লালা পড়া ঠোঁটের খবর।
শেষবার বিচিত্র অঙ্গহানির দিকে বাড়িয়েছি হাত,
সুখের নদীতে তাদের করাতে গোসল
কতো পরিকল্পনা করেছি তা জানে তারাও,
অথচ একদিন গণমাধ্যমে শিরোনাম-
ফকিরের অর্থ লুটে গড়েছি পাপের যৌথখামার।
তবু এমন সৌভাগ্য নিয়ে বারবার জন্ম নিতে চাই
উপকার না করলে কি রটে মিথ্যে খবর?