বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদে ব্যক্তি খাগেন্দ্র থাপা মাগার মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার নেপালের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। খাগেন্দ্র গিনেজ বুকে নাম লেখানো বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদে মানুষ ছিলেন যিনি হাঁটতে পারতেন।তার উচ্চতা ছিল ৬৭ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বা ২ ফুট ২ ইঞ্চির সামান্য বেশি।
পরিবার জানায়, পোখারায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ওই এলাকাতেই মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন খাগেন্দ্র।
খাগেন্দ্রর ভাই মহেশ থাপা মাগার এএফপিকে বলেন,‘সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এবার নিউমোনিয়া থেকে তার হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। শুক্রবার সে না ফেরার দেশে চলে গেছে।’
২০১০ সালে ১৮তম জন্মদিনের পর বিশ্বের সবচেয়ে খাটো মানুষের খেতাব অর্জন করেন খাগেন্দ্র। তার উচ্চতা এতটাই কম ছিল যে,এই খেতাবের জন্য তাকে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল সেটার চেয়ে তিনি সামান্য লম্বা ছিলেন।
খাগেন্দ্রর বাবা রুপ বাহাদুর বলেন,‘জন্মের সময় খাগেন্দ্র এতটাই ক্ষুদ্র ছিল যে তাকে হাতের তালুতেই রাখা যেতো। আর সে এতটা ছোট থাকার কারণে তাকে খাওয়ানো বা গোসল করানোটা ছিল খুবই কঠিন কাজ।’
গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এর এডিটর ইন চিফ বলেন,‘আমরা নেপাল থেকে খবর পেয়েছি যে খাগেন্দ্র আর আমাদের মাঝে নেই। এমন খবর শোনা আমাদের জন্য সত্যিই খুব দুঃখজনক।’
২৭ বছর বয়সী খাগেন্দ্র বিশ্বের বহু দেশে ভ্রমণ করেছেন। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের আগ্রহে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।
নেপালের পর্যটন ক্যাম্পেইনের অন্যতম পরিচিত মুখ ছিলেন খাগেন্দ্র। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের দেশে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মানুষ হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন পর্যটকদের কাছে।