বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে গোটা দেশে লকডাউন চলায় বিবাহিত দম্পতিরা একসঙ্গে প্রচুর সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন। লকডাউনের এই সময় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে যেমন আরও বেশি দৃঢ় করার সুযোগ এনে দিয়েছে, তেমনই উভয়ের মধ্যে বিতর্কের সম্ভাবনাও সমানভাবে আছে। তাই একসঙ্গে এতটা সময় ব্যয় করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া খুবই জরুরি।
আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে লকডাউনের এই সময়টি হাসি-খুশি এবং আনন্দে কাটাতে চান, তাহলে কিছু ভুল এড়িয়ে চলুন-
অকারণে সঙ্গীর ওপর রাগ দেখাবেন না
করোনার শুরুর দিকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করতে সবাই খুব উচ্ছ্বসিত ছিল। কিন্তু দিনের পর দিন একই জিনিস করতে করতে তা একঘেঁয়ে হয়ে ওঠে। বাড়ি থেকে কাজ করার সময়, আপনি আপনার সিনিয়রদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে সক্ষম নাও হতে পারেন। কারণ, বাড়ি থেকে কাজ করার সময় কাজের মানের ওপর প্রভাব পড়ে। তাই এসব সমস্যার জন্য আপনার সঙ্গীকে দায়ী করা বা এটি নিয়ে তার ওপর অকারণে রাগ করা উচিত নয়।
অফিসের কাজের কারণে যদি মেজাজ খারাপ হয়, তবে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকাই ভালো। আপনি আপনার কাজ শেষ করার পরে, সঙ্গীর সঙ্গে সুন্দর সময় ব্যয় করুন। সেই সময় আপনি আপনার সমস্যা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।
একজনের ওপর সব কাজের দায়িত্ব
ঘরের সমস্ত কাজ দুজনে মিলেমিশে করা উচিত। শুধুমাত্র একজনের ওপর যদি ঘর পরিষ্কার, বাসন মাজা, জামাকাপড় ধোওয়া, খাবার বানানো ইত্যাদি সবকিছুর দায়িত্ব থাকে। তাহলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
নিজস্ব সময় কাটান
দীর্ঘসময় ধরে একে অপরের কাছাকাছি থাকলে ঝগড়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে এই পরিস্থিতিতে আপনি বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। আপনি শুধু খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার সঙ্গী যা কিছু করে তাতে যেন আপনি কোনো প্রকার বাধা না দেন। আপনি যদি তাকে তার পারসোনাল স্পেস দেন, তাহলে আপনিও নিজের জন্য সময় পাবেন।
লকডাউন মানে সবসময় শারীরিক সম্পর্ক নয়
এখন ঘর থেকে বেরোনোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই লকডাউনে আপনি না চাইলেও আপনাকে বাড়িতে থাকতে হবে। তবে এর অর্থ এই নয়, আপনার কেবলমাত্র দৈহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সময়টি ব্যবহার করবেন। আপনার ঘনঘন শারীরিক চাহিদার জন্য আপনার সঙ্গীর মন এ ব্যাপারে উদাস হতে পারে এবং এ নিয়ে সমস্যা বাড়তে পারে।