বেশিরভাগ প্রতিবেদন প্রচার হবার পরে এক শ্রেণির তীর্যক তীর প্রতিহত করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
তখন নিজের ও মফস্বল সাংবাদিকতার অনেক অনেক সীমাবদ্ধতার দহনে বিষহীন সাপ হয়ে কেবল ফুসফুস করা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা! এইসব দহনের মধ্যে খুব বেশি পুড়ায় ভয়েস আর পিটিসি না দেবার অক্ষমতা। কেন যে এটা পারিনা, কেন যে হয়ে উঠেনা তাই জানিনা!
যদিও এটি আমার নিয়তির মতোই একই সরল রেখায় চলছে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে তীরের মাটি হাতের আঙ্গুলে ছুঁয়ে দেখলেও কখনো তাতে পা ফেলা হয়নি! পা ফসকে পানিতে ডুবে ডুবে ভেসে উঠাই আমার জীবন!
জুয়াড়ীরা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার পাঁচমাস চলে যাচ্ছে, আমার নিজস্ব কোন ক্যামেরা নেই! একটা ভালো ক্যামেরার দীর্ঘ দিনের শখ। এখনো সংকট কাটিয়ে উঠতে পারিনি। করোনাকাল সেই সংকটকে আরো দীর্ঘ করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা!
আজ টাঙ্গাইলের বিশেষ পেশার মানুষদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার হবার পর অসংখ্য মানুষের ফোন পেয়েছি। তাদের অধিকাংশই কান্না করেছেন! এই তালিকায় যেমন রয়েছেন ঢাকার সাংবাদিক গুরুজনরা, সহকর্মী ও বন্ধুরা। একইসাথে সমাজকর্মীসহ নানা স্তরের মানুষের ভালোবাসা।
সবথেকে বেশি ভালোলাগা দেশের সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনু স্যারের ফোন! এবং সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরামের পক্ষ থেকে এই মানুষের সহায়তা করার ঘোষণা...
সাংবাদিকতা ছাড়া জীবনের আর কিছুতেই এখন আর আনন্দ খুঁজে পাইনা। গত একমাস আনন্দের বদলে কষ্টের পাহাড় বহন করতে করতে আবারো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। ফেরা আর না ফেরার দোটানায় অনেকগুলি নির্ঘুম রাত কেটে গেছে! সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।
তাড়াহুড়া করে দায়সারা এই প্রতিবেদনটার যে ফিডব্যাক বা প্রেরণা তা হয়তো হতাশা কাটিয়ে উঠার জন্য বড় শক্তি হয়ে কিছুদিন এই পথে আগলে রাখবে।
নিউজটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
লেখক- সোহেল তালুকদার, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি, ডিবিসি নিউজ টেলিভিশন।