বিএনপি মানুষের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের পাশে ছিলাম। আমরা আজও তাদের সাথে আছি। ইতিমধ্যে আমরা প্রায় সোয়া কোটি অর্থাৎ ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষের কাছে ইতিমধ্যে সীমিত সাধ্যের মধ্যে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে গেছি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার সোয়া ১২টায় অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার ওবায়দুল কাদের জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘বিএনপির নেতারা পুরনো নেতিবাচকতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন। তারা মানুষের পাশে না থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মরচে ধরা সমালোচনার তীর ছুড়ছেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) জনগণের পাশে দাঁড়াবেন না, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোঁজ-খবরও নেবেন না। অথচ মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা করবেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরাই শুরু থেকে মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট, মাস্ক, বস্তিগুলোতে বেসিন স্থাপন, হাসপাতালগুলোতে পিপিই সরবরাহ করি। শুরুতেই আমরা সুনিদিষ্ট প্রস্তাব দিয়ে অর্থনৈতিক প্যাকেজ দিয়েছি। আমরা মনে করি এই প্যাকেজটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত। কিন্তু তারা সেটা করেননি। তারা যে প্যাকেজটি দিয়েছে শুধুমাত্র ব্যাংক ঋণের ভিত্তিতে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগ দেশে-বিদেশে কোথায় প্রশংসিত হচ্ছে তা আমরা জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি আমরা শুধুমাত্র সমালোচনার জন্য নয়, মানুষকে বাঁচানোর জন্য সহযোগিতা করার জন্য, সরকারের কাছে বারবার হাত বাড়িয়েছি। সরকার সেই হাত গ্রহণ করেননি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে কথাটাই বলি না কেন তথ্যমন্ত্রী একেবারে তোতাপাখির মতো বলে যাচ্ছেন আমরা জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনা করছি। বিরোধী দলের কাজ কি? সরকারের ভুলত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়া। যেখানে ভুল হচ্ছে সেখানে শুধরে দেওয়া। আমরা সেই ত্রুটিগুলো আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কোনো হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা পাওয়াটা দুরূহ ব্যাপার। সরকারি হাসপাতালগুলোতে একই অবস্থা যারা একটু বিশিষ্ট ব্যক্তি আছেন তারা কেউই যাচ্ছেন না।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে অবিলম্বে অনুমোদন দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান মির্জা ফখরুল।