কৃষকের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগানদাতা কৃষক গতবছর ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসলে আগুন দিয়েছে আর এবছর করোনায় দাম না পেয়ে ফসল ফেলে দিয়েছে। কিন্তু এবিষয়ে সরকারের কোনো প্রকার পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাবে কৃষকরা যখন ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিলেন না তখন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে ধান কাটা কর্মসূচি পালন করে কেন্দ্রীয় কৃষক দল। সারাদেশের কৃষক দলের নেতাকর্মীরা ধান কেটে মাড়াই করে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে সরকারদলীয় কাণ্ডজ্ঞানহীন নেতারা কৃষকের ধান কাটার নাম করে যে বিশৃঙ্খলা করেছেন তা সারা দেশের মানুষ দেখেছেন।
সোমবার (১ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু এবং কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জারিফ তুহিন উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের উচিত মধ্যবিত্তের কাছ থেকে ধান না কিনে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করা এতে কৃষক লাভবান হবে। মধ্যপাড়া কৃষকের ধান চাল বানিয়ে চড়া মূল্যে বিক্রি করে। এ সময় তিনি কৃষকের সমস্যা সমাধানে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারের প্রকল্প পদক্ষেপ না থাকার কারণে কৃষি ক্ষেত্র আজ ধ্বংসের মুখে। ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের সময় কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ফসল ক্রয় করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে খাদ্যসামগ্রী গুদামজাত করা হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বেসরকারি গুদাম ভাড়া করে খাদ্য গুদামজাত করা সম্ভব। এতে কি সব ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে এবং ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠবে। এ সময় তিনি আগামী তিন মাসের জন্য বিনা সুদে কৃষককে ঋণ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১০ জুনের মধ্যে প্রান্তিক কৃষকদের ধান ক্রয়ের জন্য জেলায় জেলায় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেবে কৃষকদল। এছাড়া যেসকল কৃষকরা ধান কাটতে পারছে না কৃষকদল তাদের সহযোগিতা করবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কোভিড-১৯ এ দেশের যেসকল বরেণ্য ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে তাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। দেশের আরেকজন প্রখ্যাত ব্যক্তি যিনি সব সময় সত্য কথা বলেন এবং দেশের জন্য কাজ করে যান ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, তার স্ত্রী ও সন্তান করোনায় আক্রান্ত। আমি তার ও তার পরিবারের আশু রোগ মুক্তির কামনা করছি।
তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্যের আবিষ্কৃত কিটটি এখনো পর্যন্ত সরকার অনুমোদন দেয়নি। অবশ্য জাফর উল্লাহ সাহেবের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে তার কিটটি কার্যকর ও স্বল্প খরচে এটার মাধ্যমে পরীক্ষীত। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো, জনগণের স্বার্থে কিটটি ব্যবহারের জন্য দ্রুত অনুমোদন দেয়া হোক।