বিভেদের ভাইরাসে জাতিকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতি করার সময় এখন নয়। বর্তমান সংকটে সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তিনি। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা ৭ মার্চ ও ৭ জুন পালন করে না তাদের স্বাধীনতার চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাস নেই। এটাই আজকে কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, মুজিব শতবর্ষে এবারের ৭ জুনের তাৎপর্য অনেক গভীর। তবে করোনার এই পরিস্থিতিতে এবারকার ৬ দফা দিবস ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। তিনি সংকটে সাহসী ও সফল একজন রাষ্ট্রনায়ক। একদিকে মানুষকে বাঁচানো, অন্যাদিকে করোনা প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
ঐতিহাসিক ৭ জুনের ছয় দফা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ৬ দফা বাঙালির মুক্তির সনদ। ৬ দফা ভিত্তিক ১১ দফা আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বন্দি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তি ঘটে। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এই ৬ দফা স্বাধিকার সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ৬ দফার ভিত্তিতে স্বাধীনতার পথে স্বাধিকার সংগ্রামের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়। ৭ জুন থেকে ৭ মার্চ মূলত স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপান্তরিত হয়।