বড়ালের পাড়ে তরুণী বধূটি,
তাদের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো।
কিন্তু কোনো সুখের ব্যাঘাত ঘটতো না তাতে!
দাওয়ায় পাতা পাটিটা ছেঁড়াছিল বটে,
কিন্তু তাতে বসে জোৎস্না দেখার ব্যাঘাত হতো না কখনও।
সারাবেলা খেটে কাজ করেও, দুবেলা খাবার জোগাড় হতো না!
তবে সে জন্য তাদের মুখের হাসি ফুরায়নি কখনও,
বর তার মাঠে কাজ করত।
কঠিন মাটির বুক চিরে ফসল ফলাত।
বধূটি ঘরের কাজ করত, হাঁস-মুরগি পালত,
বিল থেকে তুলে আনত শাপলা-কলমির শাক।
মাটির হাঁড়িতে রাঁধত লাল চালের ভাত।।
স্বামীটি ক্লান্ত শরীরে মাঠ থেকে ফিরত, পড়ন্ত বিকেলে,
মাদুর পেতে ভাত বেড়ে দিত, মাটির সানকিতে।
তালপাখা নিয়ে সামনে বসে বধূটি বাতাস করত,
রোদে পোড়া ঘামে ভেজা শরীর, দেখত আর চোখে।
সেই গ্রাম বাংলা এখন আর নাই,
আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম হয়েছে শহর।
বধূটি হয়েছে আধুনিক ললনা।
যতটুকু ইচ্ছে
আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব
অতটুকুই ভালোবাসি,
তার চেয়ে বেশি হলে ভেঙে যাবে
কম হলে বাজবে না বাঁশি।
আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব
আমি ততটুকুই চেয়ে দেখি,
তার চেয়ে বেশি হলো
অন্ধ হয়ে যাব আমি।
আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব
আমি ততটুকুই কথা বলি,
তার চেয়ে বেশি হলে
বাচালতা উপাধি পাব আমি।
আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি
ততটা কাছে যাই তোমার,
তার চেয়ে বেশি হলে বুক কাঁপে আমার
কম হলে তোমাকে হারিয়ে ফেলি।
আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি
অতটুকু কাছে ডাকি তোমায়,
তার চেয়ে বেশি হলে কষ্ট পায়
কম হলে পাখি উড়ে যায়।