কবিতা ও ভাবনা

কবিতা একটি শিল্প, যা শুধু উপলব্ধি করার বিষয়। গভীর চিন্তাভাবনার মনন থেকে সুসজ্জিত ও সৃজনশীল বিন্যাসে ভূমিষ্ঠ হওয়ার কাব্যিক বহিঃপ্রকাশ। এ আধুনিক মৌলিক শর্তের বিশাল এক অনুভূতিতে এসে নিজের কথা ভুলে যাই। আত্মমগ্ন হয়ে পড়ি শব্দ-শিল্পের আগত বহিরাগত রূপকের মধ্যদিয়ে। তবে এ-ও ধ্রুব সত্য যে, যারা জিহ্বামুখে স্বাদ নিতে জানে তারা কখনও নুনকে চিনি বলে না। 
কবি বুদ্ধদেব বসু বলেছেন, ‘কবিতা বোঝার বিষয় নয়, এটা অনুভবযোগ্য। কারণ কবি সম্ভবত বুঝেসুঝে কবিতা লেখেন না, কেবল বিষয়কে সামনে রেখে তাকে অনুভব করেই কবিতার জন্ম হয়।

কবিতা সবসময় আসে না। কখনোসখনো জীবনের কানাগলিতে ইঁদুর-বেড়ালের মতো খেলা করে। তবে আমি আমার সব অনুরাগ ছাপিয়ে পৃথিবীর দহনে গহনে খুঁজতে থাকি। এরপর কল্পনার সংমিশ্রণে শব্দ শিল্পের বাস্তবতার লাজুক হাত পেলে চেপে ধরি। বলে উঠি, চলো আমার সঙ্গে। তোমার সৌন্দর্যবর্ধনের পর্যটক আমি। তাতে আমি কবিতার জন্য কারোর অভিযোগে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ালে প্রথমত  স্বীকারোক্তি দেব যে, কবিতা আমার প্রেমিকা, অনন্য প্রেম, পেরেশান।

সোনালি আলোর সিরিজ

পৃথিবীর সব রোদ নেমে যায় কাঁচা দিগন্তের গায়
পথের বিলি কাটে দুর্বাঘাস-কার্তিকের শিশির যেন শাদা বনবেড়াল
এ পৃথিবীর লোফোতেন দ্বীপ, বরফে মাংসকুচির মতো
হাজার লোকের ভিড়, সমুদ্র কাছে নিয়ে হাঁটি যতদূর নীল মুখরা হাওয়া;

ওই সমুদ্রিত আকাশ নীল পোশাকের সেপাই
একগাল হেসে কয় এখানে তুমিও এসো একদিনÑ
আমার বিনিদ্র চোখ-ভিড় করে এরপর সোনালি আলোর সিরিজ
এদিকে দিঘি দিগন্ত, সোনাধানফুল-দুধভাত থালা সামনে...

জোড় হাতে বাংলাদেশ

রাষ্ট্র দেখিয়ে তোমরা অনেক কিছু করেছ। কেড়েছ উত্তরাধিকারÑ
আমার শরীর ঘেঁটেঘুঁটে বাহির করেছ
শ্রমণ চাষে তরতর বেড়ে ওঠা
সব মেরুদ-ীয় তল্পিতল্পা-অবাধ সাহস ও আঙুলের ব্রহ্মা-
অথচ তোমরা জানো না রক্তে বারুদ লেগে আছে
ফুসফুস ফুঁড়ে জাগর কাটে আলো বিছানো সব অঙ্গনÑ
পাখিদের পৌরুষ অরণ্য কাঁধে তুলে হুলস্থূল মাটির নাভিতে
বীজ ছড়ায়-অনন্ত বাঁশির সুরে লুটিয়ে পড়ে সন্তপ্ত পুষ্পক পাÑ
অসাড় আঙুলের ইতিহাস, উত্থানের যতিচিহ্ন-রক্ত বাগান

ভেব না আত্মাহুতি দেব, শরম রয়েছে-জোড় হাতে বাংলাদেশ

হাসি

তোমার কপোলের ভাঁজে হাসি লুকানো
হাসে বারান্দায় শয্যাশায়ী বেড়াল, তীব্র রক্ত রঙে-শিমুলের মতো
বারান্দা হতে তাকিয়ে থাকে-অপরাহ্ন; তুমি এসেছÑ
তোমার মুখ থেকে গলে পড়ে আপ্ত নীরবতা-দুটি চোখ


নৈসর্গ, পাহাড় ও নদীর কবি
কবি ও কথাসাহিত্যিক আফিফ জাহাঙ্গীর আলির জন্মদিন পহেলা জানুয়ারি। ১৯৭৮
বিস্তারিত
এলোমেলো
মনে করো কেউ তোমাকে ডাকেনি,  অথচ তুমি শুনতে পাচ্ছো অতল
বিস্তারিত
বুড়ি চাঁদ
সুগন্ধি রোমাল হাতে         তুমি মেপে গেলে ষাঁড়ের
বিস্তারিত
প্রেমিক হতে পারি না আজকাল
প্রেমিকার উষ্ণ চুম্বনে কৃষ্ণগৌড় ঠোঁটে  ভেসে ওঠে শোষিত মানুষের রক্তের দাগ! 
বিস্তারিত
এ মাটি
এ মাটি আমাকে দিয়েছে জীবনের যতো গান, বাতাসে রৌদ্রের ঝিলিমিলি প্রজাপতি
বিস্তারিত
নোনাজলের ঢেউ
যাবতীয় আয়োজন শেষে কত ভেঙেছি  এ নদীতে নোনাজলের মিছিলের ঢেউ  শব্দবাণে
বিস্তারিত